+88 01716886687


আমাদের সম্পর্কে

বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ
(গওরহডাঙ্গা শিক্ষাবোর্ড) প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

    পৃথিবীর শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু হয় কওমি মাদরাসা শিক্ষা ধারা থেকে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র মক্কাতুল মুকার্রমায় অবস্থান কালে দারে আরকাম এবং পবিত্র মদিনাতুল মুনাওয়ারায় অবস্থান কালে মসজিদে নববীর সম্মুখস্থ ছুফফায় উলূমে নবুয়্যাতের যে শিক্ষার ভীত রচনা করেছিলেন এবং সাহাবায়েকেরাম, তাবেঈ, তাবেতাবেঈ ও সালফে সালেহীন গন যে শিক্ষা ব্যবস্থার লালন এবং প্রচার করেছেন, সে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠানিক নাম হচ্ছে কওমি মাদরাসা।

    একটা সময় পাক—ভারত উপমাহাদেশে কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যাবস্থার জয়জয়াকার ছিল। মোঘল আমলে দিল্লিতে প্রায় ২০ (বিশ) হাজার এবং বাংলাদেশে প্রায় ৮০ (আশি) হাজার মাদরাসা ছিল। ১৮৮৫ ঈসায়ী সনে সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ পাক—ভারত উপমহাদেশের শাসন ব্যাবস্থা দখল করার পরে তাদের বুর্জুয়া শোষণের জাতাকলে আস্তে আস্তে কওমি মাদরাসা সমূহ চরম সঙ্কটকাল অতিবাহিত করে। এহেন পরিস্থিতি থেকে উত্তলনের জন্য দীর্ঘ চিন্ত—ভাবনা ও পরামর্শের পর দ্বীনি ইলম, ইসলামী তাহজিব— তামাদ্দুনের সংরক্ষণ ও প্রচার— প্রশারের সুমহান উদ্দেশ্য কে সামনে নিয়ে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কি রহ. এর দিকনির্দেশনায় হযরত কাসেম নানুতুবী রহ. এর নেতৃত্বে একদল নির্বিক যুগশ্রেষ্ঠ বুজুর্গানে দ্বীনের হাত ধরে ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে মোতাবেক ১২৮৩ হিজরী সনের ১৫ ই মুহর্রম ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর জেলার দেওবন্দ নামক এলাকায় ঐতিহাসিক ছাত্তা মসজিদ প্রঙ্গনে ডালিম গাছের নিচে এ এলহামী প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম দেওবান্দ প্রতিষ্ঠিত হয়।

    দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ঝাকে ঝাকে তালিবুল ইলম এলমে দ্বীন শিক্ষা করার জন্য জমা হতে থাকে। সেখান থেকে ফারেগ হয়ে দেওবান্দের সূর্য সন্তানেরা বিভিন্ন দেশে নতুন উদ্যমে কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা শুরু করেন। বিশেষ করে পাক— ভারত উপমাহাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে কওমি মাদরাসার নতুন দিগন্ত উন্মচিত হয়। গড়ে উঠতে থাকে বড় বড় কওমি মাদরাসা।

    ১৯২৬ সালে ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলনের অগ্রদূত মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর ছাহেব রহ. দরুল উলূম দেওবন্দ থেকে ফারেগ হয়ে থানভী রুহানিয়াত, আনওয়ারী নূর, মাদানী চেতনা নিয়ে বাংলাদেশে এসে মসজিদ, মাদরাসা, খানকা প্রতিষ্ঠা করে জাতি গঠনে কাজ শুরু করেন। গড়ে তুলেন বড় বড় মাদরাসা। ১৯৩৬ সালে ঢাকার বড়কাটারায় জামিয়া এমাদাদিয়া হুসাইনিয়া বড়কাটারা মাদরাসা, ১৯৩৭ সালে নিজ মাতৃভুমি গওহরডাঙ্গায় জামিআ’ ইসলামিয়া দারুল উলূম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদরাসা, ১৯৫০ সালে লালবাগে জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ, ১৯৫৬ সালে জামিয়া আরাবিয়া এমদাদিয়া ফরিদাবাদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা সহ অসংখ্য মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ছদর ছাহেব রহ. এর অক্লান্ত পরিশ্্রমের ফলে এই মাদরাসা সমূহ অল্পদিনেই মারকাজী মাদরাসায় রূপলাভ করে। বিশেষ করে লালবাগ মাদরাসাকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে এবং গওহরডাঙ্গা মাদরাসাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ—পশ্চিম অঞ্চলে কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠার বিপ্লব সৃষ্টি হয়। গড়ে উঠে অসংখ্য কওমি মাদরাসা।

    মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর ছাহেব হুজুর রহ. দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠা কওমি মাদরাসা সমূহের নেজামে তা’লীম, নেসাবে তা’লীম, মাদরাসা পরিচালনার নীতি, একই পদ্ধতিতে পাঠদান, একই সময় পরীক্ষা গ্রহণ সহ কওমি মাদরাসা সমূহকে একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে এনে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এবং দেশের শীর্ষ উলামকেরামদের সাথে একাধিক বৈঠক করেন। এ লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রাম, সিলেট সফর করেন। এভাবে ছদর ছাহেব রহ.— কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গঠনের চেষ্টা করেন। হযরত ছদর ছাহেব রহ. এর প্রচেষ্টায় কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গঠনের কাজ অনেকদূর এগিয়ে যায়। কিন্তু ছদর ছাহেব রহ.—এর এর বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা এবং ১৯৭৯ ইন্তেকাল এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ বিভিন্ন কারনে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গঠনের কাজ স্তমিত হয়ে যায়।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে দেশের শীর্ষ উলামায়েকেরাম হযরত ছদর ছাহেব রহ. এর খাব বাস্তবে রুপদেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য গওহরডাঙ্গা মাদরাসা মুহতামিম মাওলানা আব্দুল আজিজ রহ. দক্ষিণ— পশ্চিম অঞ্চলের শীর্ষ উলামাহযরতদের বৈঠক আহ্বান করেন। সেখানে সেখানে তিনি কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গঠনের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও ছদর ছাহেব রহ. এর খাব ও প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বক্তৃতা করেন। তার বক্তবে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এবং সকলে গওরহডাঙ্গা মাদরাসা কে কেন্দ্র করে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গঠনের ব্যাপারে ঐক্যমত হন। দীর্ঘ আলোচনা— পর্যালোচনা ও চেষ্টার পরে ১৯৭৬ সালে দক্ষিণবঙ্গের শীর্ষ উলামাদের বৈঠকে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গঠন করার সিদ্ধন্ত হয়। নাম ঠিক করা হয় বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ। বাংলায়— কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ। সংক্ষেপে গওহরডাঙ্গা বোর্ড। বোর্ডের সদর দফতর ঠিক করা গওহরডাঙ্গা মাদরাসা। সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় গওহরডাঙ্গা মাদরাসার বুনিয়াদী মুহতামিম মাওলানা আব্দুল আজিজ রহ. কে এবং সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা কারামাত আলী রহ. (সোনাপুরা হুজুর) কে। শুরু হয় গওহরডাঙ্গা শিক্ষাবোর্ডের পথ চলা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেকেই বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, এ পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, মাওলানা আব্দুল আজিজ রহ. (চৌঠাইমহলী হুজুর রহ.), মাওলানা শফিউল্লাহ রহ. (চৌমহনী হুজুর রহ.) মাওলানা আব্দুল মান্নান রহ. (কাশিয়ানী হুজুর রহ.) ছদর ছাহেব রহ. এর বড় ছাহেবজাদা হাফেজ মাওলানা ওমর আহমাদ পীর সাহেব হুজুর রহ. বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ছদর ছাহেব হুজুর রহ. এর ছোট ছাহেবজাদা হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন দা. বা., মুহতামিম গওহরডাঙ্গা মাদরাসা। সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, মাওলানা কারামাত আলী রহ. (সোনাপুরা হুজুর রহ.), মাওলানা হেলালুদ্দিন রহ. (কোটালীপাড়া হুজুর রহ.) মাওলানা আব্দুল মান্নান রহ. (কাশিয়ানী হুজুর রহ.) মাওলানা মোশাররফ হুসাইন রহ. (বগুড়ার হুজুর রহ.), মাওলানা সিদ্দিক আহমাদ রহ. (কোদালিয়ার হুজুর রহ.), ছদর ছাহেব হুজুর রহ. এর ছোট ছাহেবজাদা হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন দা. বা. ও বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা শামছুল হক দা. বা.

    প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বছর থেকেই অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে দাওরায় হাদীস (তাকমিল) সহ অন্যান্য স্তরের পরীক্ষা কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়। রচনা করা হয় নেসাবে তা’লীম, নেজামে তা’লীম, মাদরাসা পরিচালনা দস্তুর, বোর্ড পরিচালনার গঠনতন্ত্র সহ অনুসাঙ্গিক সকল কাগজপত্র।
    বর্তমানে বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওরহডাঙ্গা বাংলাদেশে আকাবির—আসলাফদের রেখে যাওয়া আমানত যথার্থভাবে রক্ষা করে; কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সুচারুরুপে পরিচালনার জন্য যুগউপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে যত্নের সাথে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

    গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ড ৮ (আট) টি স্তরে বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে থাকে। শিক্ষাবোর্ড পরিচালনার জন্য এমটি মজলিসে উমূমী, একটি শুরা পরিষদ ও একটি মজলিসে আমেলা রয়েছে। এছাড়াও বোর্ডে কার্যক্রম যুগউপযোগী করা ও সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য ইমতেহান কমিটি, নেসাব কমিটিসহ কয়েকটি উপ কমিটি রয়েছে।

    বোর্ডের চেতনা:
বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর ছাহেব রহ. এর চেতনায় প্রতিষ্ঠিত।
    বোর্ডের আদর্শ:
এই বোর্ড কোরআন, সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরামের জীবনাদর্শের আলোকে গড়ে উঠা ইসলামী ভাবাদর্শ তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের চিন্তাধারার উপর সদা প্রতিষ্ঠিত থাকবে। সকল হকপন্থি মাজহাব, দল ও মতের উপর উদার সহনশীল মানুষিকতা পোষণ করবে। আকাবির ও আসলাফ হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ রহ. হযরত কাসেম নানুতুবী রহ., শায়খুল আরব ওয়াল অজম হযরত মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী রহ., হাকীমুল উম্মত হযরত শাহ আশরাফ আলী থানভী রহ., শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ., মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর ছাহেব রহ. এর চিন্তাধারার আলোকে আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দের অনুসৃত নীতি ও আদর্শ মেনে চলবে। অত্র বোর্ডের সকল সিদ্ধান্ত হানাফী মাজহাব এর আলোকে গৃহীত হবে।
    বোর্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
ক) কওমি মাদরাসাসমূহকে দ্বীনী তালীম ও তরবিয়াতের সুমহান দায়িত্বে নিয়োজিত একটি ঐক্য সূত্রে গঠন করত: এত্তেফাক ও এত্তেহাদের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।
খ) কওমি মাদরাসাসমূহকে আদর্শ মাদরাসা রূপে গড়ে তুলে মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন করা।
গ) শিক্ষার সাথে সাথে বাস্তব জীবনে অনুশীলনের দ্বারা ইসলামের সৌন্দয্যর্ অক্ষুন্ন রাখার ব্যবস্থা করা।
ঘ) দ্বীনের হেফাজত, ইশায়াত, তাবলীগ ও ই’লায়ে কালিমাতুল্লাহ এর সুমহান দায়িত্ব আঞ্জাম দানের লক্ষ্যে পারস্পারিক সম্প্রীতি, হামদর্দি ও সহানুভূতির চেতনা জাগ্রত করা।
ঙ) বেফাকভুক্ত সকল মাদরাসার তা’লীম—তরবিয়াতের মানোন্নয়ের লক্ষ্যে সিলেবাস প্রণয়ন ও সংস্কার এবং তা’লীম—তরবিয়াতের মান যাচাইয়ের জন্য অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ পরিদর্শন ও কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
চ) বেফাকভুক্ত মাদরাসা সমূহের সুষ্ঠ পরিচালনা, লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক ও কর্মীগনের প্রশিক্ষণ তরবিয়াতি মজলিসের ব্যবস্থা করা।
ছ) যোগ্য ব্যক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিষয় ভিত্তিক গভেষণামূলক উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করা।
জ) দেশের সর্বত্র কওমি মাদরাসা ও আদর্শ মক্তব গড়ে তোলা এবং মসজিদ আবাদে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা।
ঝ) কওমি মাদরাসায় শিক্ষাপ্রাপ্ত উলামায়েকেরামের সম্মানজনক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ঞ) সমকালীন সকল বাতিল সম্পর্কে তলিবুল ইলমদের সচেতন করা এবং ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী মহলের ষড়যন্ত্র থেকে কওমি মাদরাসাগুলোকে রক্ষা করা।
ট) আমর বিল মা’রুফ ও নাহী আনিল মুনকারের দায়িত্ব যথাযথ আঞ্জাম দেওয়ার লক্ষ্যে সর্বস্তরের মুসলিম জনতাকে প্রয়োজনীয় দ্বীনিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া, ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুনের প্রতি অনুপ্রাণিত করা এবং ঈমান—আকীদা, আমল—আখলাক বিধ্বংসী ফেৎনা সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন করার যথার্থ উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ঠ) জনগণের সামনে কওমি মাদরাসার খেদমত, অবদান ও নিঃস্বর্থবাদিতার বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরা।
ড) রাষ্ট্রীয় পযার্য়ে কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি ও মযার্দাকে প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত সবার্ত্নক উদ্যোগ অব্যহত রাখা।
ঢ) বিশেষজ্ঞ উলামায়েকেরামের সমন্বয়ে শরয়ীবোর্ড কায়েম করত: জন—সাধারণের শরীয়াত সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করা এবং দেশ ও সমাজের প্রচলিত আইন/কানুন ও বিধি—বিধান সম্পর্কে ইসলামী শরীয়াতের দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের মাঝে ব্যাপক ভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করা।
এই বোর্ডের মূল উদ্দেশ্য হল উলূমে ওহী ও উলূমে নবুয়্যাতের বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান চচার্র পথ উন্মুক্ত করা এবং ইসলামী শিক্ষা ও তাহজীব—তামাদ্দুনের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহ মুখী করা এবং আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন বুলন্দ করার এবং সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনতার নিকট দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞান পৌছে দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন কামিয়াবী হাসিল করা।
    বোর্ডের কর্মসূচী:
বেফাকের মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচি ৪টি।
ক) তা’লীম বা শিক্ষা।
খ) তরবিয়াত বা নৈতিক চরিত্র গঠন।
গ) দাওয়াত ও খেদমত
ঘ) তাখাস্সুসাত ও রদ্দে ফেরাকায়ে বাতেলার উপর মাহারাত হাসেল করা।

    কওমি ইত্তেহাদ কে মজবুত করার লক্ষ্যে বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়ন, মসজিদ, মাদরাসা, ফুরকানিয়া মক্তব, মক্তব, খানকা, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম, মাদরাসার শিক্ষক সহ মাদরাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে ইখলাসের সাথে কাজ করার তাওফিক দান করেন এবং ভাল কাজে ভরপুর বরকত দান করেন। আমীন।